জেলা উত্তর ২৪ পরগনার প্রাচীন জনপদ পানিহাটি। প্রভু নিত্যানন্দের আগমন থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রথম বাহিরে যাত্রার স্মৃতি বিজড়িত এই জনপদ। পানিহাটি জনপদের উল্লেখ রয়েছে চৈতন্য পূর্ববর্তী মনসা বিজয় এবং চৈতন্য পরবর্তী শ্রীচৈতন্য ভগবত, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত, শ্রী চৈতন্য মঙ্গল প্রভৃতি গ্রন্থে। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের বিপ্রদাস পিপিলাইয়ের মনসাবিজয় কাব্যে সুখচর নাম, চৈতন্যমঙ্গল কাব্যে নিত্যনন্দের পানিহাটি গ্রামে আগমনের উল্লেখ আছে। দয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল গ্রন্থে পানিহাটির বর্ণনা পাওয়া যায়। মহাত্মা গান্ধী সোদপুরকে তাঁর দ্বিতীয় বাসস্থান বলেছেন। এই গ্রন্থে প্রাচীন সাহিত্যে পানিহাটি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হলদে কালিবাড়ি, সুখচর কালিতলা, কালি ব্রহ্মমন্দির, ঘোলা পঞ্চমূর্তি মন্দির, শৈবতীর্থ, জটিলেশ্বর, চরকতলা, ব্রহ্ম পুজো, পাইনবাড়ি, গিরিবালা ঠাকুরবাড়ি, আগরপাড়া হরিসভা, মিনার মসজিদ, ঘোলাবাজার মসজিদ, মহিষপোতা মসজিদ, বিটি রোড মসজিদ, ঘোলা মুসলমানপাড়া মসজিদ, কারবালা, তারাপীরের দরগা, পানিহাটির বৌদ্ধ তীর্থস্থান, রত্নাঙ্কুর বৌদ্ধবিহার, গির্জা, পিজরাপোল, রাজনৈতিক আন্দোলন, বিপ্লবী আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, ক্রীড়া জগৎ, পুরসভা, পানিহাটিতে বিদ্যাসাগর, গোয়েন্দা দপ্তরের নথিতে আগরপাড়ার বিপ্লবী প্রচেষ্টা, সোদপুরে খাদি প্রতিষ্ঠান, প্রত্নতত্ত্ববিদ পূর্ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ছাতুবাবু, যম দত্ত, অমূল্যধন রায়ভট্ট, নারীশিক্ষার অগ্রপথিক রোকেয়া, ঐতিহ্যর সার্ভে টাওয়ার, গোবিন্দ হোম, নানান তথ্য আলোচিত হয়েছে। আশা করা যায় গ্রন্থটি দ্রুত পাঠকমহলে বিস্তারলাভ করবে।
জনপদের কথা : পানিহাটি
Janapader Katha : Panihati
Janapader Katha : Panihati - Edited by Kanaipada Roy
কানাইপদ রায়