সব প্রকাশ মাধ্যমের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। তাই অনেক সময় সাহিত্যিকরা কলম ছেড়ে রঙ-তুলি হাতে তুলে নেন, আবার শিল্পীরা সাহায্য নিয়েছেন কলমের। মনে হয় এই একই কারণে মৃণালকান্তি মাটি, প্লাস্টার, ধাতু ছেড়ে মনোনিবেশ করেছেন লেখায়। সুন্দরবন অঞ্চলে দেখা জলাশয়, নৌকো, নদীর বাঁধ কিংবা সাঁকো, পুকুরের জলে শোল বা পুঁটি মাছের বিচরণ, শাপলাফুল তোলা, গ্রামের দুর্গা পুজো, গাজন, যাত্রাপালা প্রভৃতি এমন কতো বাল্যস্মৃতি সজীব হয়ে উঠেছে তাঁর ভাস্কর্য ও নিখুঁত বর্ণনায়। ত্রিমাত্রিক ভাস্কর্যে নিসর্গের অবতারণা সাধারণত খুব একটা চোখে পড়ে না। ত্রিমাত্রিক আয়তনময়তার মধ্যে শূন্যস্থান সৃষ্টি করে মধ্যবর্তী জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে কুশীলব ও আনুষঙ্গিক বস্তুকে। আবার কিছু ভাস্কর্য রেখাধর্মী, স্থাপত্যঘেঁষা ও বৃক্ষের মতো ঊর্দ্ধমুখী। অন্যদিকে কবিতা, নাটক, শিল্প প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকাশের মাধ্যমের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণমূলক রচনাগুলো পুস্তকটিকে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
ভাস্কর্যের আমি
Bhaskarjer Aami
Bhaskarjer Aami - Mrinal Kanti Gayen
মৃণালকান্তি গায়েন