অপরিসীম দারিদ্র্যের আগুনে পুড়তে পুড়তে একদিন উনবিংশ শতাব্দীর প্রথিতযশা আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন রায় বংশের প্রতিষ্ঠাতা কালিকাপ্রসাদ রায়। প্রভুত অর্থ ও ভূসম্পত্তির মালিক হলেও তিনি বিস্মৃত হননি, তার অসহনীয় দারিদ্র, সততা, নৈতিকতা ও আদর্শ। কোন সাহায্যপ্রার্থী তার কাছে এসে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যেতেন না। বহু হতদরিদ্র হিন্দু ও মুসলিম কন্যার বিবাহ তিনি দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছিলেন। ধর্মীয় ভন্ডামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আচরণের মূর্ত প্রতীক কালিকা প্রসাদের বিছানার পাশে থাকতো গীতা, উপনিষদ, কোরান, বাইবেল। বলিষ্ঠ সাংস্কৃতিক চেতনার মানুষটি গাইতেন তানপুরা সহযোগে, শাস্ত্রীয় সংগীত, বাজাতেন পাখোয়াজ, পছন্দ করতেন কবি গান, পৌরাণিক যাত্রাপালা। নিজে কয়েকবার অভিনয়ও করেছিলেন। তাঁর অমোঘব্যক্তিত্বের টানে গোটা দিনাজপুরের মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ছুটে আসতো তাঁর সবার জন্য উন্মুক্ত দরজায়। ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতায় তাঁর নাম সর্বাগ্রে হতো উচ্চারিত। এক অমল মানুষ কালিকা প্রসাদের নবম উত্তর পুরুষ আর এক অমোঘ ব্যক্তিত্ব অক্লান্ত রূপকার
ডা. করুণাকান্ত রায় আর এক অমল মানুষ।
অমোঘ ব্যক্তিত্ব অক্লান্ত রূপকার
Amogh Baktitwa Aklanta Rupakar)
Amogh Baktitwa Aklanta Rupakar
আনন্দময় রায়